পোষা প্রাণী
জীবিকা,শিকাড় ও পরীক্ষামূলক কাজে পশু পাখি ব্যবহার ছাড়াও পশুপাখিকে মানুষ পোষাপ্রানী হিসেবে রাখতে ভালোবাসে।পোষাপ্রানী যেমন একজন মানুষের একাকিত্ব দূর করে তেমনি তার বিনোদনমূলক স্বভাবের মাধ্যমে মানুষকে আনন্দিত করে।তাই যুগ যুগ ধরে মানুষ পোষা প্রানী রাখতে ভালোবাসে।
যেসব প্রানী দেখতে আকর্ষণীয়, মানুষের সাথে তার আচরণের মাধ্যমে অনেক ভাব প্রকাশে সক্ষম এবং যাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের আচরণ,স্বভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেসব প্রানীকে মানুষ পোষা প্রানী হিসেবে পালতে পছন্দ করে।
পৃথিবী জুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় পোষাপ্রাণীর তালিকায় রয়েছে কুকুর ও বিড়াল।এছাড়াও রয়েছে খরগোশ,পিগ,টিয়া,ময়না,হ্যামস্টার সহ আরো নানান প্রানী।
ইংরেজী ভাষায় পোষা প্রানী পালনের ভিত্তিতে পালনকারীদের বিভিন্ন নাম এ সম্ভোধন করা হয়।যেমন যারা বিড়াল পালতে ভালোবাসে তাদের বলা আইলিউরোফাইল (Ailurophile) এবং যারা কুকুর পালতে ভালোবাসে তাদের সাইনোফাইল ( cynophile) বলা হয়।
বিভিন্ন পরিসংখ্যান এ দেখা গিয়েছে মানুষ পোষা প্রানী রাখতে ভালোবাসে তবে কয়েকটি কারনে পালতে পারেনা যেমন, পোষাপ্রানী নিয়ে ভ্রমণ এ সমস্যা,পোষা প্রানী কে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারা,তাদের জন্য ঘরে উপযুক্ত পরিবেশের ব্যবস্থা না থাকা ইত্যাদি।
পোষাপ্রানী সব বয়সের মানুষ কে আনন্দ দিতে সক্ষম।তবে বৃদ্ধ /বায়োজ্যাষ্ঠো মানুষের একাকিত্ব দূর করতে পোষা প্রানীর বিকল্প নেই।বাচ্চাদের ও খেলার সঙ্গী হিসেবে তাদের তুলনা হয় না।
If you find this post helpful or interesting, please share it.