ড্রাই স্কিন কেয়ার
আমাদের ত্বকের এপিডার্মিস লেয়ার এ ৩০% পানি থাকে। যদি এপিডার্মিস লেয়ার এ ১০% অপেক্ষা কম পানি থাকে তাহলে সেটাকেই ড্রাই স্কিন বলা হয়।আবার,স্কিন ন্যাচারালি ওয়েল প্রডিউস করে যাকে সেবাম বলে,যদি ত্বকে সেবাম তৈরি না হয় তবে ধরে নিতে হবে ত্বকটি শুষ্ক।
ফেইস ওয়াশ -
ফেইস ওয়াশ এর ক্ষেত্রে মাইল্ড ফেইস ওয়াশ দিনে একবার ব্যবহার ই ড্রাই স্কিন এর জন্য উপযোগী।হট ওয়াটার ব্যবহার করা যাবে না।কালারড এবং ফ্রেগরেন্স যুক্ত ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করা যাবেনা।এতে ড্রাই স্কিন এ এলার্জি ও রেডনেস দেখা দিতে পারে।
এক্সফোলিয়েটর -
ড্রাই স্কিন এ স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার এর প্রয়োজন হয় না এতে স্কিন আরো শুষ্ক, ফ্যাকাশে দেখায়।তবে ব্যবহার করতে চাইলে সেলিসাইলিক এসিড বা গ্লাইকোকোলিক এসিড যুক্ত ব্যবহার করা যেতে পারে।
ময়েশ্চারাইজার-
ড্রাই স্কিন এর জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার এর কোনো বিকল্প হয় না, তাই শুধু শীত নয় সব ঋতুতেই প্রতিবার ফেইস ওয়াশ এর পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাটা জরুরি। গ্লিসারল, প্যারাফিন,প্রপিলিন গ্লাইকল ইত্যাদি যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ত্বক পরিষ্কারের পর ব্যবহার করা যাবে।
ড্রাই স্কিন কেয়ার বলতে আমরা বুঝি ময়েশ্চারাইজার। সঠিক ভাবে ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করা গেলেই ড্রাই স্কিন এর ইরিটেশন বা ইচিনেস কমানো সম্ভব।
ড্রাই স্কিন এর জন্য ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কয়েকটি বিষয় দেখে নেয়া যাক
১)অক্লুসিভস ( occlusives) : যখন এমন ময়েশ্চারাইজার এজেন্ট ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের প্রটেক্টিভ লেয়ার তৈরি করে ত্বককে ওয়াটার লস বা ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করবে। যা ড্রাই স্কিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ড্রাই স্কিন এর জন্য বেস্ট অক্লুসিভস হলো
পেট্রোলিয়াম জেলি,মিনারেল ওয়েল (ত্বক উপযোগী)।
২)হিউমেকটেন্টস ( humectants) : ড্রাই স্কিন এ ওয়াটার এর কমতি মেটাতে প্রয়োজন হিউমেক্ট্যান্টস উপাদান। এরকম ময়েশ্চারাইজার যুক্ত বেস্ট হিউমেক্ট্যান্টস হলো মধু, হায়ালুরনিক এসিড,গ্লিসারিন।যা ড্রাই স্কিন কে ময়েশ্চারাইজড রাখার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
৩)ইমোলিয়েন্টস (emollient) : ড্রাই স্কিন কে ইরিটেশন,রেডনেস,ইচিনেস থেকে মুক্ত করে সফট ও সুদিং করতে প্রয়োজন ইমোলিয়েন্টস এজেন্ট। বেস্ট ইমোলিয়েন্টস গুলো হলো জজোবা ওয়েল,শিয়া বাটার,কোকোয়া বাটার,বি ওয়েক্স ইত্যাদি।
ড্রাই স্কিন কে ময়েশ্চারাইজড করার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে যেন স্কিন ড্রাই হয়ে এমন কিছু ব্যবহার না করা।
সানস্ক্রিন-
শুষ্ক ত্বকের জন্য জিং ওক্সাইড,টাইটেনিয়াম ওক্সাইড যুক্ত এবং এস পি এফ- ৩০ সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার উপযোগী।
এন্টিএজিং-
শুষ্ক ত্বকে এন্টিএজিং প্রডাক্ট ব্যবহার করা জরুরী কারন শুষ্ক ত্বকে পানির পরিমান কম থাকে ফলে সেল দুর্বল হয়ে পড়ে।তাই রেটিনল ও ট্রেটিনয়েন প্রডাক্ট ব্যবহার উপযোগী।
ডেটক্স ওয়াটার -
দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি খাওয়ার পাশাপাশি এন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত মিনারেল শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই দরকার।তাই শসা,পুদিনা,হানি যুক্ত ডেটক্স ওয়াটার খাওয়া খুবই উপযোগী যা রিচ এন্টি অক্সিডেন্ট এর উৎস।
ত্বক কে পরিচর্যার কোনো বিকল্প নেই। একেক জন এর স্কিন ভেদে পরিচর্যা একেক রকম, তাই বাজারে নানান উপাদান যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার এর পূর্বে কোন উপাদান টি আপনার ত্বকের উপযোগী তা জেনে রাখা ভালো।ড্রাই ত্বককে একইভাবে কয়েকটি ধাপে পরিচর্যা করে হলে বছর জুড়ে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।তাই উপরের আলোচনায় দেওয়া কোন ধাপ এ কি ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যাবে,তা মেনে চললেই বুঝবেন আপনার শুষ্ক ত্বকের যত্ন খুউব সহজ কাজ, কঠিন কিছু নয়।
If you find this post helpful or interesting, please share it.